বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ কোটি ১৩ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ লাখ ২৩ হাজারও বেশি।
রোববার (১৮ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়াল্ডওমিটারসের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ কোটি ১৩ লাখ ৫ হাজার ২৩৭ জন। মারা গেছেন ৩০ লাখ ২৩ হাজার ৮৭১ জন। সুস্থ হয়েছেন ১১ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ১৮৮ জন।
 
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে।
 
চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আশার কথা হচ্ছে, এরইমধ্যে করোনার একাধিক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে।
 
ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ২৩ লাখ ৭২ হাজার ১১৯ জন। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখ ৮০ হাজার ৭৫৬ জনের।
 
আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৩৯ লাখ ১৩৪ জন। এরমধ্যে তিন লাখ ৭‌১ হাজার ৮৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৪৭ লাখ ৮২ হাজার ৪৬১ জন। এরমধ্যে এক লাখ ৭৭ হাজার ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
 
বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ১৫ হাজার ২৫২ জন। এরমধ্যে ১০ হাজার ২৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
 
উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ২১৭। এরমধ্যে চার হাজার ৬৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে।
 
উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।’
 
মহামারির শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছিল, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে চীনের ভূমিকা রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সেই দাবিকে আরও জোরালো করে চীনের উহানের ল্যাবের এক ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ানের বক্তব্য।
লি মেং ইয়ান বলেন, চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে করোনাভাইরাস। এটি মানুষের তৈরি বলে তার কাছে শতভাগ প্রমাণ রয়েছে।
 
হংকংয়ে জন্ম নেয়া ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। চীন হত্যা করতে চেয়েছিল বলে ভয়ে মার্কিন মুলুকে পালিয়ে যান তিনি।
 
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৯২টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।